গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের নলডাঙ্গা থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ ও চিরকুট উদ্ধার করছে থানা পুলিশ। শনিবার রাতে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কলেজ পাড়া এলাকার বাড়ি থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ তার হাতে থাকা (আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়) লেখা চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাতেই থানা নেয়া হয় ও স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে থানায় আত্মসমর্পণ করে স্বামী। আত্মসমর্পণকারী স্বামী মহসীন আলী (২৬) সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কলেজ পাড়া গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।
ওই দিনই গৃহবধূর ভাই বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করে। অভিযোগে সে জানায় তার বোন শেফালী খাতুনকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে তার স্বামী মহাসিন আলী। এজাহারের প্রেক্ষিতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসে। শেফালী খাতুনের স্বামী মহাসিন আলী হত্যার দায় স্বীকার করে থানায় আত্মসমর্পণ করে।
এলাকাবাসীরা জানায়, দীর্ঘ ৪ বছর আগে সদর উপজেলার মৃত কাদের মোল্লার মেয়ের সাথে বিয়ে হয় মহাসিন আলীর। তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ লেগেই থাকতো। সে নেশা করত। এ বিষয়ে থানার ওসি মাহাবুব আলম ও তদন্ত অফিসার ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
টিএইচ